বিশেষ প্রতিনিধিঃ যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নিয়োগ দেয়ার সাড়ে ৫ মাসের মাথায় আজ তিনি তার প্রধান সহযোগী মোঃ ফরিদুল ইসলাম এর মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, আর্থিক অনিয়ম, পছন্দের লোকদের ব্যবসা ছাড়াই বেতন প্রদান ও নানাবিধ অভিযোগ সহ বিভিন্ন চিঠিপত্র থেকে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” “আসসালামু আলাইকুম” “মা-আসসালাম” এই রকম ইসলামী শব্দগুলিকে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছিলেন, এতে ইসলামপ্রিয় কর্মী কর্মকর্তা ও সাধারণ গ্রাহকগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যার দরুন ১৪/০১/২০২৫ ইং মঙ্গলবার চাকরি হারালেন। ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট এ কোম্পানিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তবে তার এই অব্যাহতি দেয়া নিয়ে বোর্ডের পরিচালকদের মন্তব্য করতে রাজি হননি ।
যমুনা লাইফের চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান তার অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করেন। পত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৫৪তম পরিচালনা পর্ষদ সভার সিদ্ধান্তক্রমে আপনাকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়, সেই সাথে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানির বৃহত্তর স্বার্থে অদ্য ১৪ জানুয়ারি -২০২৫ থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ (চলতি দায়িত্ব) হতে আপনাকে অব্যহতি দেয়া হলো। যমুনা লাইফের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা ওই চিঠির অনুলিপি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানকে দেয়া হয়েছে এটি নিশ্চিত করেছেন কর্তৃপক্ষ ।
কোম্পানির একটি সূত্রে জানা গেছে, যমুনা লাইফের চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান এর এরকম সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়াতে কর্মী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানির চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে অসুস্থতা বানিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চঃদাঃ) ড. বিশ্বজিত কুমার মন্ডলের মোবাইলে একধিকবার ফোন দেয়া হলেও তার ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য ও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
তার ইন্সুরেন্স ক্যারিয়ার থেকে জানা যায় ১৯৯৮ সালে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এ জয়েন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করে ২০০০ জুন এ সান লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এ জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করে। ২০০৫ জুন রূপালি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এ ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর যোগদান করেন। পরবর্তীতে মার্চ ২০১৪ চার্টার্ড লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এ অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করে। মাত্র এক মাস চাকরি করে মার্চ ২০১৪ তে পুনরায় যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে ৬ বছর ২ মাস সে সময় ৪ কোটি টাকা মুলধন ঘাটতি করেছিলেন যা অদ্যবদি তেমনই রয়ে গেছে।
পরবর্তিতে মে-২০২২ থেকে অক্টোবর-২০২৩ পর্যন্ত হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ১ বছর ৬ মাস দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে আইডিয়ারে কর্তৃক অপসারিত হয়েছিলেন।
ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সহ সকল কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় থাকাকালীন দুর্নীতির খবরাখবর নিয়ে বিস্তারিত আসছে…….