আলী আহসান রবি :
২০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধি দল পাঁচ দিনের এক কৌশলগত সফরে আজ দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন। বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ আকর্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিনিধি দল কোরিয়া সফর করবেন।
বিডার পাশাপাশি প্রতিনিধি দলে আছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সফরটি বাস্তবায়িত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি)–এর কারিগরি সহযোগিতায়।
সফরের অংশ হিসেবে ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে একাধিক সরকারি-বেসরকারি (G2B) বৈঠক। এসব বৈঠকে অংশ নেবে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠীগুলো। সেখানে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স, জাহাজ নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, টেক্সটাইল, কেমিক্যাল ও ভারী নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সুযোগ তুলে ধরা হবে।
এছাড়া প্রতিনিধি দল দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের (MOTIE) উপমন্ত্রীর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন এবং একাধিক সরকারি-সরকারি (G2G) পর্যায়ের আলোচনাতেও অংশ নেবেন। এসব বৈঠকে দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার, প্রস্তাবিত কোরিয়া–বাংলাদেশ সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (CEPA) এবং সাম্প্রতিক বাণিজ্য নীতিনির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
সফরের অন্যতম প্রধান আয়োজন হলো “গেটওয়ে টু গ্রোথ: ইনভেস্ট ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক বিনিয়োগ সেমিনার, যা অনুষ্ঠিত হবে ২১ অক্টোবর সিউলে। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করছে বিডা ও বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল, ফেডারেশন অব কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (FKI)–এর সহযোগিতায়। সেমিনারে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ, সুযোগ ও প্রস্তুতি তুলে ধরা হবে। এছাড়া ইয়ংওয়ান করপোরেশন–এর মতো সফল কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের গল্প শেয়ার করবেন, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।
এ সফর সম্পর্কে বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন,
“দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম মূল্যবান অর্থনৈতিক অংশীদার। আমরা এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের পরবর্তী কৌশলগত উৎপাদন ও রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরতে চাই। আমাদের লক্ষ্য একদিকে নতুন উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণ, অন্যদিকে MOTIE–এর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের নীতিগত সংলাপের মাধ্যমে বাজারে প্রবেশাধিকার ও অর্থনৈতিক সংযুক্তি বাড়ানো।”